গত সপ্তাহে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৬০০-৬৩০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০-১,০০০ টাকা, ব্রয়লার ১৮০-৪৫০ টাকা, যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্ধারিত দামের তুলনায় অনেক বেশি।
সিটি করপোরেশন রমজানের জন্য প্রতি কেজি স্থানীয় গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
ক্রেতারা বলছেন, সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ব্যবসায়ীরা গত দুই সপ্তাহে দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন।
বংশালের বাসিন্দা আসিফ হোসেন জানান, বুধবার তিনি এক কেজি গরুর মাংস ৬২০ টাকায় কিনেন।
তিনি বলেন, ‘মাংসের দাম এখন বেশি। এক কেজি ব্রয়লারের দাম ২৮০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ২৩০ টাকা ছিল। এক কেজি খাসির মাংসের দাম ৯০০-১,০০০ টাকা।’
তিনি বাজার পর্যবেক্ষণের অভাবকে দায়ী করে বলেন ‘ক্রেতাদের সব সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের এখন কোনো আয় নেই, তবে খাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই অধিক দামে কিনতে হবে। ব্যবসায়ীরা কেবল লাভের বিষয় চিন্তা করেন।’
নাজিরাবাজারের বাসিন্দা জান্নাত বেগম জানান, তিনি ১০ দিন আগে এক কেজি মুরগি ১২০ টাকায় কিনেছিলেন।
‘তবে এখন ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা,’ বলে তিনি জানান।
পুরান ঢাকার মাংস ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, গত দুই সপ্তাহে মাংসের দাম বেশ কয়েকবার বেড়েছে।
তিনি বলেন,‘দীর্ঘ ছুটির কারণে ছোট ব্রয়লার ব্যবসা বন্ধ ছিল। সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বেড়েছে।’
আমিনুল বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে ব্রয়লার চাষিরা প্রচুর অর্থ লোকসান দিয়েছে। এখন তারা ঈদকে সামনে রেখে লোকসান কাটিয়ে লাভের চেষ্টা করছেন।
কাপ্তানবাজারের মাংস ব্যবসায়ী সালমান জানান, তারা মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০-৬২০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক কেজি অস্ট্রেলিয়ান গরুর মাংসের দাম ৫৮০ টাকা, তবে স্থানীয় গরুর মাংস ৬২০ টাকারও বেশি বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, ‘গবাদি পশুর দাম বেশি হওয়ায় সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুসারে মাংস বিক্রি করা কঠিন। ঈদের ছুটিতে এটি আরও বাড়তে পারে।’